এম. মনছুর আলম, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার দুই কিশোর মানবপাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারে আটকা পড়েছে। সেখানে তাদের পরিবার থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে চলছে চরম উদ্বেগ ও আহাজারি।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছৈনাম্মার ঘোনার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সাইমুন (১৫) এবং পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব বিলহাছুরার নাছির উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ সোলেমান (১৬) সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে নিখোঁজ হয়।

অভিযোগ রয়েছে, চিহ্নিত মানবপাচারকারী আলী হোসেন, পিতা অজ্ঞাত, বিএমচর ইউনিয়নের বাসিন্দা, মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে দুই কিশোরকে ফুসলিয়ে দালালচক্রের হাতে তুলে দেন। এরপর থেকে তাদের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ কিশোরদের স্বজনরা জানান, মিয়ানমারের এক দালাল কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস মেম্বার আলী হোসেনের সহায়তায় দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মুক্তিপণ না দিলে ছেলেদের ছেড়ে দেবে না বলে হুমকি দেয়।

ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ছৈনাম্মার ঘোনা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে আলী হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের আটক ও দুই কিশোরকে উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।